Saturday, April 9, 2011

আধুনিক শিক্ষিতরা রাষ্ট্রপরিচালনা করতে পারে একথা সত্য, কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষিতরা তারচেয়ে ভালো রাষ্ট্র চালাতে পারে -মুফতি ফজলুল হক আমিনী

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/04/07/75810

  • আধুনিক শিক্ষিতরা রাষ্ট্রপরিচালনা করতে পারে একথা সত্য, কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষিতরা তারচেয়ে ভালো রাষ্ট্র চালাতে পারে
  • কোরআনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইন বাতিল না করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
  • কোরআনের আদর্শে রাষ্ট্রপরিচালনার যোগ্য লোক তৈরি হয় মাদ্রাসাগুলোতে। এজন্যই মাদ্রাসাগুলোকে নির্মূলের টার্গেট করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জাতি থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে।

আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন করে কোরআন অবমাননা করেছে সরকার : আমিনী

স্টাফ রিপোর্টার


ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনী হরতালের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বলেছেন, কোরআনের পক্ষে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্মম নির্যাতন করে প্রকৃতপক্ষে সরকার কোরআন অবমাননা করেছে। কোরআনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইন বাতিল না করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। আমিনী বলেন, আধুনিক শিক্ষিতরা রাষ্ট্রপরিচালনা করতে পারে একথা সত্য, কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষিতরা তারচেয়ে ভালো রাষ্ট্র চালাতে পারে।

কোরআনের আদর্শে রাষ্ট্রপরিচালনার যোগ্য লোক তৈরি হয় মাদ্রাসাগুলোতে। এজন্যই মাদ্রাসাগুলোকে নির্মূলের টার্গেট করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জাতি থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু জাতি এখন বুঝে গেছে মাদ্রাসা শিক্ষিতরা দেশের সুনাগরিক। দেশ পরিচালনার যোগ্যতা তাদের রয়েছে। আমিনী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে আকবরের দ্বীন-এ এলাহি চালু করার ষড়যন্ত্র করছে। ভারতের নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন বিশ্বের দেড়শ’ কোটি মুসলমানকে ইসলাম ত্যাগ করে দ্বীন-ই এলাহি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এজন্য তার ফাঁসি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল বিকালে লালবাগের কার্যালয়ে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির মজলিসে শূরার এক জরুরি সভায় সভাপতির ভাষণে মুফতি আমিনী এসব কথা বলেন।

 সভায় চলমান এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার জন্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আপাতত মাঠপর্যায়ে কঠিন কর্মসূচির দিকে না গিয়ে কমিটি আগামী ২০ এপ্রিল ঢাকায় জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনকে সামনে রেখে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ২৭ মে ঢাকায় মহাসমাবেশ পর্যন্ত ঘোষিত ২ মাসব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি পুনর্ব্যক্ত করে সভায় বলা হয়, ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সংঘবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনে আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।