Wednesday, April 6, 2011

হরতালের ব্যাপারে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোন যোগসাজশ হয়নি। তবে তারা এই আন্দোলনে একাত্ম হতে চাইলে স্বাগত জানাবো।-মুফতি আমিনী


http://ittefaq.com.bd/content/2011/04/06/news0187.htm

06.04.2011
দাবি না মানলে সরকার পতনের আন্দোলন :আমিনী

কমর্ীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ১০

০০ ইত্তেফাক রিপোর্ট

ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেছেন, নারীনীতি থেকে ইসলাম বিরোধী ইসু্য বাদ না দেয়া হলে সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করা হবে। সরকার পতনের আন্দোলনে নামবো আমরা। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চিও পিছপা হবো না।

গতকাল মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটায় রাজধানীর লালবাগে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আব্দুল লতিফ নেজামী, আবুল কাসেম, জসীমউদ্দীনসহ ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কামিটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী। এদিকে বিকাল ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সংগঠনের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।

মুফতি আমিনী বলেন, সরকার আলোচনার কথা বললেও সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন প্রস্তাব আমাদের কাছে এখনো আসেনি। নারীনীতি স্থগিত না হলে সরকারের সঙ্গে কোন আলোচনায় যাবো না । আমিনী অভিযোগ করেন, হরতালের পর মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে এবং আটককৃতদের উপর অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। অবিলম্বে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল সোমবারের হরতাল সফল উলেস্নখ করে আমিনী বলেন, হরতাল সফল হওয়ার কারণে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। হরতালের ব্যাপারে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোন যোগসাজশ হয়নি। তবে তারা এই আন্দোলনে একাত্ম হতে চাইলে স্বাগত জানাবো। এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোন কথা হয়নি। বিএনপি-জামায়াত না আসলে আমরা একাই ইসলামের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

আজ বুধবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান ।

সমাবেশে বাধা: রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির পূর্ব ঘোষিত সমাবেশে বাধা দিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার হরতাল পালনকালে নেতা-কর্মীদের আটকের প্রতিবাদে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। এদিকে একই দিন মুক্তাঙ্গনে জামায়াতের সমাবেশ থাকায় পুলিশ কোন সংগঠনকেই মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করতে দেয়নি।

মুক্তাঙ্গনে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ করতে না পেরে নেতা-কর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়। সেখানেও পুলিশ বাধা দিলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ জন কর্মীকে আটক করে।