Monday, July 23, 2012

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা বন্ধের দাবি জানালো ইরান

১৭ জুলাই (রেডিও তেহরান): মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামী ইরান এবং শিগগিরি এ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রমিন মেহামানপারাস্ত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

মেহামানপারাস্ত বলেছেন, মিয়ানমার সরকার সহিংসতা ও মানবিক বিপর্যয় রোধে দেশটির মুসলমানদের অধিকার দেয়া এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে বলে তেহরান আশা করে।

চলমান সহিংসতা বন্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হত্যাযজ্ঞের নানা দিক ও ব্যাপকতা নিয়ে তদন্ত করতে মিয়ানমার সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মেহমানপারাস্ত বলেন, বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নাগরিক অধিকার ভোগের সুযোগ করে দেয়ার নীতি সব ধর্ম বিশ্বাসীরাই মেনে নিয়েছেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। গত জুন থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত শত শত মুসলমান নিহত এবং হাজার হাজার মুসলামান ঘর-বাড়ি ছাড়া হয়েছেন।

গত ৩ জুন বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী আরাকান এলাকায় রাখাইনরা একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালালে ১০ নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হন।

ব্রিটেনভিত্তিক কয়েকটি এনজিও’র হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সাড়ে ছয়শ’ রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হয়েছে। এ ছাড়া, এখনো ১২শ’ মুসলমান নিখোঁজ রয়েছেন। দাঙ্গা ও প্রতিশোধ আক্রমণের শিকার হয়ে আরাকান অঞ্চলে অন্ততঃ ৮০ হাজার মুসলমান ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

রোহিঙ্গা মুসলমানরা কয়েকশ’ বছর ধরে মিয়ানমারে বসবাস করা সত্ত্বেও দেশটির সরকার তাদেরকে ওই দেশের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করছে। মিয়ানমার সরকার অযৌক্তিকভাবে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবৈধ অভিবাসী বলে দাবি করে আসছে।

জাতিসংঘ রোহিঙ্গা মুসলমাদের রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী বলে উল্লেখ করে থাকে। এ ছাড়া, তারা বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী বলেও জাতিসংঘ স্বীকার করে।#


http://bangla.irib.ir/​2010-04-21-08-29-09/​2010-04-21-08-29-54/item/38755