http://bdnews24.com/bangla/details.php?id=147303&cid=2
ঢাকা, জানুয়ারি ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী হত্যার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার রাজীত মিত্রকে রোববার লিখিত প্রতিবাদলিপি দেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল।
গত ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী মারা যায়।
ফেলানী হত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন হয়েছে সোমবার।
ফেলানীর বাবা নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম নূরু ১০ বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করেন। ফেলানী তার সঙ্গে সেখানেই থাকতো। দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় সে বাবার সঙ্গে ফিরছিলো।
সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে গেলে ফেলানী চিৎকার শুরু করলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে ও লাশ নিয়ে যায় (এবং লাশটি পা উর্দ্ধমুখী করে সীমান্তের কাঁটাতারের সাথে ঝুলিয়ে রাখে)। পরদিন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদস্যদের কাছে লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
রাজীত মিত্র ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপি ভারত সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি আশ্বস্ত করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। পাশাপাশি তিনি সীমান্তে এ ধরনের ঘটনার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন।
এর আগে রোববার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, কুড়িগ্রামে বিএসএফের গুলিতে শিশু ফেলানী হত্যার বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের শুরুতেই প্রতিবাদ জানানো হবে।
আগামী ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ঢাকায় এ বৈঠক হওয়ার কথা।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে অন্তত ৭৪ জন বাংলাদেশি নাগারিক নিহত ও ৭২ জন আহত এবং ৪৩ জনকে অপহরণ হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএসজেড/এএল/পিডি/১৮৫১ ঘ.
ঢাকা, জানুয়ারি ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী হত্যার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার রাজীত মিত্রকে রোববার লিখিত প্রতিবাদলিপি দেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল।
গত ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানী মারা যায়।
ফেলানী হত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন হয়েছে সোমবার।
ফেলানীর বাবা নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম নূরু ১০ বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করেন। ফেলানী তার সঙ্গে সেখানেই থাকতো। দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় সে বাবার সঙ্গে ফিরছিলো।
সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে গেলে ফেলানী চিৎকার শুরু করলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে ও লাশ নিয়ে যায় (এবং লাশটি পা উর্দ্ধমুখী করে সীমান্তের কাঁটাতারের সাথে ঝুলিয়ে রাখে)। পরদিন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদস্যদের কাছে লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ।
রাজীত মিত্র ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাকে প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদলিপি ভারত সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি আশ্বস্ত করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। পাশাপাশি তিনি সীমান্তে এ ধরনের ঘটনার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন।
এর আগে রোববার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, কুড়িগ্রামে বিএসএফের গুলিতে শিশু ফেলানী হত্যার বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের শুরুতেই প্রতিবাদ জানানো হবে।
আগামী ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ঢাকায় এ বৈঠক হওয়ার কথা।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে অন্তত ৭৪ জন বাংলাদেশি নাগারিক নিহত ও ৭২ জন আহত এবং ৪৩ জনকে অপহরণ হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএসজেড/এএল/পিডি/১৮৫১ ঘ.