Sunday, November 7, 2010

নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশে গণতন্ত্রই ইসলাম : খেলাফত আন্দোলন

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/11/07/52608

ঢাকা, রোববার ০৭ নভেম্বর ২০১০, ২৩ কার্তিক ১৪১৭, ২৯ জিলকদ ১৪৩১

নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশে গণতন্ত্রই ইসলাম : খেলাফত আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, যারা ইসলাম সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান রাখে না, তারাই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে মুসলিম জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ায় বংলাদেশের কোথাও কোনো অমুসলমানকে জোর করে ইসলামধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে এমন প্রমাণ নেই। বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীতে ধর্মীয় সংখ্যাগুরুর শাসন চলছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস মূল্যবোধ, আবেগ, কৃষ্টি-সংস্কৃতি রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় প্রতিফলিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। এদেশের গণতন্ত্রই হচ্ছে ইসলাম।

গতকাল নবাবপুর রোডের মদনপাল লেনের মহানগরীর কার্যালয়ে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল মালেক চৌধুরী, নগর নায়েবে আমির মো. আবদুস সাত্তার,. সেক্রেটারি ফিরোজ আশরাফী, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মো. শাহাজাহান মিয়া, মুফাচ্ছের হোসেন প্রমুখ।

মাওলানা হামিদী আইনমন্ত্রী সত্যিকারের মুসলমান কিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, ইসলাম শুধু একটি ধর্মের নাম নয়, কোরআন ও সুন্নাহর বর্ণিত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানের নামই হচ্ছে ইসলাম। আল্লাহর বিধান ও হজরত মহানবী (সা.)-এর আদর্শকে সবক্ষেত্রে অনুসরণ করা এবং তিনি যা নিষেধ করেছেন তা বর্জন করার নামই হচ্ছে সত্যিকারের ইসলাম। অতএব ইসলামের কিছু বিধান মেনে আর কিছু মানতে অস্বীকার করলে মুসলমান হওয়া যায় না। ধর্ম ও রাজনীতি পৃথকীকরণের প্রচলিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ইসলামের দৃষ্টিতে অবান্তর। ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা না হলে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের দোহাই দিয়ে কোনো মুসলিম নারীকে বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না বলে রায় আসে কেন? সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সচেতন জনগণ মেনে নেবে না।