Tuesday, March 13, 2012

"সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ"-এর বাংলাদেশস্থ এমবেডেড ফোর্স-এর কুকীর্তি প্রচারে নেমেছে “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ"-এর এমবেডেড মিডিয়া


ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইংগ-মার্কীন দুষ্টচক্রের তথাকথিত "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ"-এর বাংলাদেশস্থ এমবেডেড ফোর্স-এর কুকীর্তি প্রচারে নেমেছে তথাকথিত "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ"-এর এমবেডেড মিডিয়া।

হতে পারে আল্লাহপাক তাদের একদলকে আরেক দলের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েছেন।

খবরঃ-

আনোয়ারা থানার পুলিশ জানায়, লিখিত অভিযোগে তালসরা দরবারের গাড়িচালক ইদ্রিস মিয়া বলেন, ৪ নভেম্বর বিকেলে ২০-৩০ জন কালো ও সাদা পোশাক পরা র‌্যাবের লোক দরবার শরিফের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তাঁরা মূল ফটক বন্ধ করে দেন। এরপর পীর আহাম্মদ ছফা শাহকে দোতলায় মিলাদ পড়ার ঘরে আটক করেন। তাঁর স্ত্রী ও মেয়েদের নিচের তলায় মিলাদঘরের একটি কক্ষে আটক করেন। এ সময় র‌্যাবের সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থায় ছিলেন। তাঁরা আহমদ ছফাকে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি এবং হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে তাঁর কাছ থেকে জোর করে চাবি নিয়ে নিচতলায় এসে বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালান। সেখানে কোনো রকম আইনবিরোধী সরঞ্জাম না পেয়ে নিচের তলায় বিভিন্ন কক্ষের স্টিলের আলমারি খোলেন। এ সময় তিনটি আলমারির তালা ভেঙে সেখানে রাখা মূল্যবান কাগজপত্র ফেলে দেন। আলমারির ভেতরে ছয়টি ট্রাভেল ব্যাগে দুই কোটি সাত হাজার টাকা ছিল। এসব টাকা ভক্তদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে মসজিদ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য গচ্ছিত ছিল। এ সময় র‌্যাবের সদস্যরা টাকাভর্তি ব্যাগগুলো নিয়ে র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদার পেছনে পেছনে চলে যান।

মামলায় গাড়িচালক বলেন, ‘উপস্থিত সবার সামনে দিয়ে টাকাভর্তি ব্যাগগুলো দরবার শরিফের প্রধান ফটক দিয়ে বের করে র‌্যাবের গাড়িতে তোলেন। এ সময় বাইরে দুই পাশে গ্রামের ও দরবারের শত শত লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় র‌্যাবের সদস্যদের কাছে টাকার রসিদ চাইলে তাঁরা অস্ত্র উঁচিয়ে ধমক দেন। এরপর সাদা কাগজে আমার ও আমার সঙ্গের দুজনের সই নিয়ে মূল ফটক খুলে চলে যান।

ইদ্রিস আলী মামলায় আরও বলেন, পরদিন সকালে তিনি আনোয়ারা থানায় হাজির হয়ে এসব ঘটনা নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে চান। তখন তিনি থানার কর্মকর্তাদের কাছে জানতে পারেন, ওই দিন রাতে ওসি ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখানে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু র‌্যাবের অধিনায়ক ওসিকে ভেতরে ঢুকতে দেননি।

ওসি তাঁকে জানান, র‌্যাব-৭-এর সদস্যরা থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে মিয়ানমারের কয়েকজন নাগরিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তালসরা দরবার শরিফের বাইরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার অভিযোগে তাদের আটক করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

আনোয়ারা প্রতিনিধি জানান, বিলম্বে অভিযোগ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইদ্রিস প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা আশা করেছিলেন, র‌্যাব টাকার উৎস জানার পর সব টাকা ফেরত দেবে। কিন্তু টাকা ফেরত না দেওয়ার কারণে তাঁরা বিলম্বে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ওই ঘটনার পরপরই তিনি টাকা লুটের বিষয়টি মৌখিকভাবে থানার পুলিশকে জানিয়েছিলেন বলে জানান।

মামলা দায়েরের পর দরবারের অনুসারী ফুল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, মামলা হওয়ার পর দরবারে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ওই টাকা দিয়ে দরবারের মসজিদ দোতলা করার কথা ছিল। টাকাগুলো উদ্ধার হলে মসজিদের সংস্কার করা হবে।

তালসরা দরবারের পীর আহাম্মদ ছফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আল্লাহর ঘরের টিয়া হনিকিয়ার হেডত হজম অইতুনু। এ টিয়া আল্লাহর ঘরতই ফিরি আইবু। (আল্লাহর ঘরের টাকা কারও পেটে হজম হবে না। এ টাকা আল্লাহর ঘরেই ফিরে আসবে।)